May 14, 2025
পুষ্টির অভাবে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায় না, ফলে প্রতিদিনের কাজে দ্রুত ক্লান্তি আসে এবং দুর্বলতা অনুভূত হয়। বিশেষ করে আয়রনের অভাবে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়ে অ্যানিমিয়া দেখা দেয়, যা ক্লান্তির একটি প্রধান কারণ।
যথাযথ প্রোটিন, ভিটামিন এ ও ই-এর অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে এবং ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও ফাটলযুক্ত হয়ে উঠতে পারে। এই উপাদানগুলোর অভাব ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়।
ভিটামিন সি-এর অভাব মাড়ির রক্তপাত, ফুলে যাওয়া এবং দাঁতের দুর্বলতার কারণ হতে পারে। এটি স্কার্ভি রোগের লক্ষণ, যা দীর্ঘমেয়াদী ভিটামিন সি-এর অভাবে দেখা দেয়।
ভিটামিন এ-এর অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। চোখের সাধারণ কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় ও দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে শরীরের বিপাকক্রিয়া কমে যায় এবং ক্ষুধা কমে যেতে পারে। ফলস্বরূপ, দেহের ওজন দ্রুত হ্রাস পেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
ভিটামিন ও খনিজের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সাধারণ সর্দি, কাশি, ইনফেকশন বা অন্যান্য অসুস্থতা ঘন ঘন হতে থাকে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন ও ভিটামিন বি-এর অভাবে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে পারে। এটি শিশুদের শিক্ষা ও বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, সহজেই ভেঙে যেতে পারে বা ব্যথা অনুভব হয়। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
Visit Website