May 14, 2025

শিশুদের ঠান্ডা ও কাশি কমানোর ৮টি কার্যকর ঘরোয়া উপায়

MD Hasan

১. গরম পানির ভাপ

গরম পানির ভাপ (ভেপার) শিশুদের সর্দি ও নাক বন্ধ হওয়া থেকে দ্রুত আরাম দেয়। গরম পানির বাষ্প শ্বাসনালী পরিষ্কার করে এবং শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে। শিশুর বয়স অনুযায়ী সাবধানে ভাপ দিতে হবে যেন গরমে পুড়ে না যায়।

২. মধু ও আদার মিশ্রণ

এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য মধু ও আদার রস মিশিয়ে খাওয়ানো যায়। এটি প্রাকৃতিক কাশিনাশক হিসেবে কাজ করে এবং গলা ব্যথা বা খুসখুসে কাশি কমায়। দিনে ১-২ বার অল্প পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে।

৩. তুলসী পাতা ও মধুর রস

তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়ানো শিশুর ঠান্ডা এবং গলা ব্যথা উপশমে কার্যকর। তুলসীর অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ আছে যা ঠান্ডা দ্রুত কমায়।

৪. গরম স্যুপ বা ডালসুপ

গরম চিকেন স্যুপ বা পাতলা ডালসুপ শিশুদের শরীর গরম রাখে এবং হাইড্রেটেড রাখে। এতে ঠান্ডা-কাশি কমে এবং শরীরে শক্তি ফিরে আসে। সহজে হজম হয় বলে শিশুদের জন্য এটি উপকারী।

৫. নারিকেল তেলে মালিশ

গরম নারিকেল তেলে রসুন ও কালোজিরা দিয়ে হালকা গরম করে বুকে ও পিঠে মালিশ করলে শ্বাসনালীর জট খুলে যায় এবং কাশি উপশম হয়। এটি রাতে ঘুমানোর আগে করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।

৬. উষ্ণ পানি বা হারবাল চা

ছোটদের জন্য লেবু ও মধু মিশ্রিত উষ্ণ পানি বা ক্যাফেইনমুক্ত হারবাল চা গলা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তবে শিশুর বয়স ও সহনশীলতা বুঝে মাত্রা অনুযায়ী দিতে হবে।

৭. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘরের উষ্ণতা বজায় রাখা

ঠান্ডা-কাশি হলে শিশুদের বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে ঘর গরম ও পরিষ্কার রাখা, ধুলাবালি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত। ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচাতে উষ্ণ পোশাক পরানো প্রয়োজন।

৮. গার্গল (বড় শিশুদের জন্য)

যেসব শিশু গার্গল করতে পারে, তাদের হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করানো যেতে পারে। এটি গলার ব্যথা ও ইনফেকশন কমাতে কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।