May 13, 2025
উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত লবণ খাওয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লবণের পরিমাণ কমিয়ে আনা গেলে রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। তাই রান্নার সময় কম লবণ ব্যবহার করা, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা এবং খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম—যেমন হাঁটা, সাইক্লিং, যোগব্যায়াম কিংবা সাঁতার—উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্যায়াম শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে এবং হৃদযন্ত্রকে সবল রাখে, ফলে রক্তচাপও স্থিতিশীল থাকে।
ড্যাশ (DASH) ডায়েট অনুসরণ করে এমন খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করুন, যাতে বেশি করে ফল, সবজি, পূর্ণ শস্য, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার থাকে এবং চর্বি ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকে। বিশেষ করে কলা, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, রসুন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ধ্যান, প্রার্থনা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা বই পড়া কিংবা প্রিয় গান শোনা মনকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত চাপ নিয়ন্ত্রণ করলে রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল হৃদযন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির একটি বড় উৎস। ধূমপান ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ হ্রাস পেতে শুরু করে। একইভাবে অ্যালকোহল কমিয়ে দিলে হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করে।
রসুন, আদা, তুলসীপাতা, মেথি ও করলা প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস খাওয়া অথবা রসুন চিবানো অনেক উপকারী। এছাড়াও, দারুচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে তৈরি হালকা গরম পানিও রক্তচাপ হ্রাসে কার্যকর।
Visit Website